২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে মেজাজ হারান বাইডেন

আপডেট : নভেম্বর ১, ২০২২ ৭:০০ অপরাহ্ণ

131

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে মেজাজ হারিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেলেনস্কি আরও বেশি সামরিক সহায়তা চাইলে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফোনালাপের বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এনবিসি নিউজ এ কথা বলেছে।

 এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এএনআই জানায়, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন সহযোগিতা প্যাকেজ ঘোষণা করলে বাইডেন বরাবরের মতো জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তবে জুনের ওই ফোনালাপ ছিল ভিন্ন।

ফোনালাপে জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভের জন্য অতিরিক্ত সহযোগিতা প্রয়োজন, কিন্তু সেটা পাচ্ছেন না। তখন ইউক্রেনের জন্য আরও ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদন দিয়েছেন, শুধু এ তথ্য জানিয়েই কথা শেষ করে দেন বাইডেন।

এনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন রাগের সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলেনস্কি ‘আরেকটু বেশি কৃতজ্ঞতা দেখাতে পারেন’।

সূত্রগুলো জানায়, ১৫ জুনের ফোনালাপের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলেনস্কির ওপর অসন্তোষ বাড়ছিল বাইডেনের। তাদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর কয়েকজন সহযোগী মনে করেন, ওয়াশিংটন সম্ভব সবকিছু এবং যত দ্রুত সম্ভব করছিল, কিন্তু শুধু যেটা করা হচ্ছিল না, জেলেনস্কি জনসমক্ষে সেটাই বলে বেড়াচ্ছিলেন।

ফোনালাপে তিরস্কৃত হওয়ার পর জেলেনস্কি জনসমক্ষে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। এতে সহায়তার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান। এভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

ওই ভিডিওতে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা যায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আমার আজ গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হয়েছে। আমি এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। এটি বিশেষ করে আমাদের দনবাসের প্রতিরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর।

ইউক্রেনের জন্য ওয়াশিংটনের ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা ঘোষণার দুই দিন পর বাইডেন ও জেলেনস্কির ফোনালাপ নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এ সহায়তার ফলে বর্তমান প্রশাসনের শুরু থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ অভূতপূর্বভাবে ১ হাজার ৮৫০ কোটি ডলারের বেশিতে গিয়ে দাঁড়াবে।

কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতীতে সরবরাহ করা বেশির ভাগ সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি ২০২২ সালে ইউক্রেনকে আরও উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে হিমার্স রকেট সিস্টেম, স্টিংগার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান বিধ্বংসী জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমআই-১৭ হেলিকপ্টার।

তবে যুদ্ধবিমান, জাহাজবিধ্বংসী ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থার মতো আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।

সূত্র: প্রথম আলো




স্মৃতি ও স্মরণ

ছবি