ভয়েস বাংলা ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। পানি না সরায় অনেক জায়গায় ফলে চলছে না যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
রাজধানীর উত্তরখান, দক্ষিণখান, ভাটারা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, আজিমপুর, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে গতকাল থেকেই রাজধানীতে ঝোড়ো বাতাসসহ তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। সকাল নাগাদ বৃষ্টি কমলেও জলাবদ্ধতা কমেনি। বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের নোংড়া পানি জমে আছে, খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’
অতিবৃষ্টির কারণে পলাশী মার্কেটের সামনে রাস্তায় পানি জমেছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ও পানি জমেছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা ও পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়।
রাজধানীর ভাটারা এলাকা যা ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ডের আওতায় এর বেশিরভাগ সড়ক পানিতে ডুবে আছে। ভাটারার মোড়, খন্দকার বাড়ীর মোড় ও ফেরাজীটোলা এলাকায় হাঁটু সমান জলে ডুবে আছে।
পানি সরার জন্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেও পানি সরছে না। গতকালের অতিবৃষ্টির কারণে ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।’
রাজধানীর দক্ষিণখানের হজ ক্যাম্প থেকে চেয়ারম্যানবাড়ী সড়কটিতে পানি জমে আছে। সিটি করপোরেশনের আওতায় হলেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এ এলাকায়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসা করা হলে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ‘গতকালের অতিবৃষ্টিতে রাজধানীর কমবেশি সব এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ১০টি কুইক রেসপন্স টিম সারাদিন সারা রাত কাজ করেছে। তারা যেসব গাছ ভেঙে পড়েছে তা সরিয়েছে। পানি সরানোর ব্যবস্থা করছে। আজ সকাল থেকে তারা মাঠে আছে।’
তিনি জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন