২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তি

আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ২:২২ অপরাহ্ণ

147

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

সড়কের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট গর্ত ও খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকামুখী সড়কে গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে আবদুল্লাহপুর এবং ময়মনসিংহমুখী সড়কের রাজধানীর খিলখেত থেকে টঙ্গীর মিলগেট পর্যন্ত দেখা দিয়েছে এই যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিয়মিত যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দেখা দেয় ভোগান্তি। সড়কের গর্ত-খানাখন্দে পানি জমে যান চলাচলে দেখা দেয় ধীরগতি। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সড়কটিতে দেখা দিয়েছে যানজট। বিশেষ করে টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবন ও মিলগেট এলাকায় বড় বড় গর্ত রয়েছে।। সেসব গর্তে পানি জমে থাকায় কোনো গাড়িই সামনে এগোতে পারছে না। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে উভয়মুখী সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

আবদুল্লাহপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টঙ্গীর গর্ত-খানাখন্দের কারণে কোনো গাড়িই আমরা ঠিকমতো গাজীপুরে পাঠাতে পারছি না। আবার গাজীপুরের গাড়িও মিলগেট একালায় আটকা পড়ছে। তাই উভয়মুখী সড়কে সকাল থেকেই মানুষজন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।’

বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবন, স্টেশনরোড ও মিলগেট এলাকায় সড়কের উভয় দিকেই রয়েছে বিশাল বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহনগুলো সামনে এগোতে পারছে না। বিশেষ করে বেশি খারাপ অবস্থা টঙ্গীর মিলগেট এলাকায়। এখানে গর্ত আর বিআরটির প্রকল্পের কাজের কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে যানবাহন চলছে মাত্র এক লেনে। এতে স্বাভাবিক গতি কমে উভয় পাশেই দেখা দিয়েছে যানজট। যানবাহনগুলো দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে একই জায়গায়। বিরক্ত হয়ে যাত্রীদের কেউ কেউ হেঁটেই রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে।

বোর্ডবাজার এলাকায় কথা হয় গাজীপুরের তারগাছ এলাকার বাসিন্দা মো. রাকিবুলের সঙ্গে। তাঁর দাবি, তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাখালীর উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছেন। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় এসেছেন বোর্ডবাজার পর্যন্ত। তিনি বলেন, গাড়িতে বসে খুব বিরক্ত লাগছে। কিন্তু বাকি রাস্তাটুকু যে হেঁটে বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাব, তার উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই বসে থাকতে হচ্ছে।

সূত্র: প্রথম আলো




স্মৃতি ও স্মরণ

ছবি