Online Bangla feature and news portal
৮ই ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

মাদুরোর স্ত্রীর দুই ভাগনের বিনিময়ে সাত মার্কিনের মুক্তি

আপডেট : অক্টোবর ২, ২০২২ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ

48

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর স্ত্রীর দুই ভাগনেকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর বিনিময়ে ভেনেজুয়েলা সাত মার্কিনকে মুক্তি দিয়েছে। দুই দেশই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব বন্দীদের বিনিময় হয়েছে, তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচজন তেল নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মাদকসংক্রান্ত অভিযোগে ১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

ভেনেজুয়েলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যে দুজনকে অন্যায্যভাবে আটক রাখা হয়েছিল, তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভেনেজুয়েলার সরকার আরও বলেছে, মানবিক কারণে ওই মার্কিনদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, যেসব মার্কিন বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল কোম্পানি সিটগোর নির্বাহীরা রয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নৌ কর্মকর্তা ম্যাথিউ হিথ ও ওসমান খান নামের আরেক মার্কিন রয়েছেন। পাঁচ বছর আগে টোমিউ ভাডেল, জোস লুইস জামব্রানো, আলিরিও জামব্রানো, জর্জ টোলেডো ও জোস পেরেইরাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরাও মুক্তি পেয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, অন্যায়ভাবে আটক মার্কিনরা দ্রুত তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আটক এই কর্মকর্তাদের পরিবার তাঁদের থেকে আলাদা রয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তাঁদের মুক্তির জন্য আমরা নিবেদিত আছি।’

মার্কিন এই কর্মকর্তাদের বিনিময়ে ভেনেজুয়েলার ফার্স্ট লেডি সিলিয়া ফ্লোরেসের দুই ভাগনেকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছেন বাইডেন। এই দুই ভাগনে হলেন—ফ্রাঙ্কুই ফ্লোরেস ও ইফরেন আন্তোনিও ক্যাম্পবো ফ্লোরেস। ২০১৫ সালে হাইতিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নিউইয়র্কে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের মাদক–সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় একটি দেশের বিমানবন্দরে এই বন্দী বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর বিরুদ্ধে বামপন্থী একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে।

তবে বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে আলোচনার জন্য দূত পাঠিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, ইউক্রেনে হামলা ও রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার দিকে ঝুঁকছে।

সূত্র: প্রথম আলো




স্মৃতি ও স্মরণ

ছবি