ভয়েস বাংলা ডেস্ক
প্রথমবারের মতো ঢাকা’র বাইরে প্রদর্শিত হলো ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশের শো। টাঙ্গাইল শহরের আনন্দপাঠ বিদ্যালয়ের গত ২৩ ও ২৪ অক্টোবর দিনব্যাপী এ প্রদর্শণী উপভোগ করেন শতাধিক দর্শনার্থী। বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শুভানুধ্যায়ীরা ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ঘুরে দেখেন ষাট গম্বুজ মসজিদ, পানাম নগরী, বড় সরদারবাড়ি, ছোট সোনা মসজিদ ও এগারো শিব মন্দির।
শত শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এসব ঐতিহ্যবাহী প্রত্নস্থলগুলোতে ঘুরতে যাওয়া হয়তোসহসা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ভার্চুয়াল মিউজিয়াম মিউজিয়াম বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে শিশু সহ অন্যান্য দর্শনার্থীরা খুব সহজেই ঐতিহাসিক এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে আসেন যা বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষনীয় একটি অভিজ্ঞতাও বটে।
ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম ভার্চুয়াল মিউজিয়াম হিসেবে প্রটোটাইপের উদ্বোধন করে। এরপর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সহ বেশ কয়েকটি স্থানে প্রদর্শনী’র আয়োজন করা হলেও ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম।
ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও লিড ডেভেলপার আহামেদ জামান সঞ্জীব বলেন, ‘আমরা চাই দেশের সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ দেখুক, যা শিশুদের এদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শিক্ষায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এটা হয়তো একদিনে সম্ভব নয়। কিন্তু ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশ যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে দেশের যেকোনো প্রান্তে গিয়ে প্রদর্শনী করতে প্রস্তুত।’
আনন্দপাঠ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল শহরে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিশুদের আনন্দমুখি শিক্ষা নিয়ে সাফল্যের সাথে কাজ করছে। ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিশুদের জন্য নানান ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনের জন্য টাঙ্গাইল তথা এ অঞ্চলে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এ আয়োজন উপলক্ষ্যে আনন্দপাঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইয়াসমিন মলি বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শিশুদের আনন্দমূখী শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করতে কাজ করছি। ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশের এই বিশেষ প্রদর্শনী এমনই আরেকটি প্রচেষ্টা।