ভয়েস বাংলা ডেস্ক
বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছাদূত থাকবেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে কমিশন।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন।
প্রশ্ন ছিল, দুদকের শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে কি না বা এ অবস্থাতেও সাকিব আল হাসান কমিশনের শুভেচ্ছাদূত থাকছেন কি না।
জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ এলেই তো সঙ্গে সঙ্গে কোনো কিছু হয় না। একটু সময় দেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দেখছে, অপেক্ষা করুন।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং দলের অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে দুদকের ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে উনি দুদকের হয়ে তথ্যচিত্র তৈরিতে কাজ করবেন। এবং তাঁর সঙ্গে শুধু একবার ২০১৮ সালে যখন দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন চালু হয়, তখন একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা আর কোনো তথ্যচিত্র বা কোনো কার্যক্রম করিনি।’
সম্প্রতি জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, শেয়ারবাজারে কারসাজি, নিজের বাবার নাম জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিমানের সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মিসর থেকে উড়োজাহাজ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে এ পর্যন্ত সাতজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে অনুসন্ধান কর্মকর্তা আরও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ পাঁচ বছরের জন্য লিজ ভিত্তিতে নিয়ে আসে। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এটি অনুসন্ধান করে। তারা দেখতে পায়, বিমান দুটি যথাযথ মানের ছিল না, ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে দেশের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। গতকাল ও আজ মোট সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো