ভয়েস বাংলা ডেস্ক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তিমযাত্রার দৃশ্য সরাসরি দেখতে লন্ডনের রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। এ শোকযাত্রা ভালোভাবে দেখা যাবে এমন জুতসই জায়গা খুঁজে পেতে অনেকে সেখানেই রাত কাটিয়েছেন। কেউ এনেছেন হাতে তৈরি তাঁবু, কেউ এনেছেন স্লিপিং ব্যাগ আবার কেউ এনেছেন বাতাস ঢুকিয়ে ফোলানো বিছানা। অনেকে সঙ্গে করে ফ্লাস্কভর্তি চা নিয়ে এসেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় আজ বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়) ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান হবে। এর আগে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে এক শোকযাত্রার মধ্য দিয়ে মরদেহবাহী কফিন গির্জায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আরেক শোকযাত্রার মধ্য দিয়ে কফিন নেওয়া হবে উইন্ডসর ক্যাসেলে।
শোকযাত্রার সময় রানির কফিন একনজর দেখতে আগে থেকেই রাস্তার পাশের বেষ্টনীর ওপারে ভিড় করেছেন মানুষ।
ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে একটি মল ঘেঁষে যে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়েছে, এর একেবারেই সামনের দিকের একটি জায়গা পেয়েছেন মেলানি ওডে। ৬০ বছর বয়সী এ শিক্ষক গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওখানে আসেন। তাঁবু খাটিয়ে দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে সেখানেই রাত কাটিয়েছেন তিনি।
মেলানি জীবনে একবারই ইতিহাসের অংশ হওয়ার, শ্রদ্ধা জানানোর এমন সুযোগ এসেছে। বলেন, ‘এমন ঘটনা আগে দেখিনি। আমাকে আসতে হলো। ঘটনাটাই এমন যে না এসে থাকা গেল না।’
মেলানি মনে করেন, রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে এতটুকু অন্তত তিনি করতে পারেন।
রাতভরই বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে এসে মানুষ জড়ো হয়েছেন। কেউ এসেছেন ট্যাক্সিতে, আবার কেউ এসেছেন ট্রেনে চড়ে। ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত ট্রেনসেবা চালু করা হয়েছে।
শোকযাত্রা অনুষ্ঠানের রাস্তার পাশে যেসব মানুষ অবস্থান নিয়েছেন, তাঁদের কেউ কালো পোশাক পরে ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখছেন। আবার কেউ পতাকার আদলে পোশাক পরে গড সেভ দ্য কুইন গাইছেন।
বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপস্থিতি সেখানে দেখা গেছে। কেউ আবার হুইলচেয়ারে করেও সেখানে এসেছেন।
সূত্র: প্রথম আলো