Online Bangla feature and news portal
৮ই ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

গাবতলীতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

আপডেট : জুলাই ৭, ২০২২ ১:৪৬ অপরাহ্ণ

61

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুদিন। আর তাই পুরোদমে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়েছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে অন্য বাস টার্মিনালগুলোতেও।

গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় ঈদযাত্রী মজুমদার মিরাজের সঙ্গে। তিনি পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনদিন আগে বাসের অগ্রিম টিকিট কাটা ছিল। আজ সকাল সকাল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাবতলীতে আসেন। সকাল ১০টায় তাদের বাস ছাড়ার কথা। সেজন্য টার্মিনালে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

মজুমদার মিরাজ জাগো নিউজকে বলেন, পরিবার নিয়ে বাড়ি যাবো বলে একটু আগেভাগেই ছুটি নিয়েছি। রাস্তায় যানজটের কথা চিন্তা করে সকাল সাতটায় ঘর থেকে বেরিয়েছি। শেওড়াপাড়া থেকে গাবতলী আসতে এক ঘণ্টা লেগে গেছে। গাবতলীতে পৌঁছে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।

উত্তরবঙ্গে চলাচলরত শ্যামলী পরিবহনের বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা হাবিব জানান, গত তিনদিন থেকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি বেড়ে গেছে। অধিকাংশ মানুষ ঈদের দু-একদিন আগের টিকিট নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবারের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ রুটে প্রতিদিন তাদের কোম্পানির ১০ থেকে ১২টি গাড়ি চলাচল করে।

ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ বাড়তি টাকা খরচ করে হলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে ফিরতে চায়। এই সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টারগুলোতে অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঈদের আগের দিন পরিবার নিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য গাবতলী থেকে সোহাগ পরিবহনের তিনটি টিকিট কিনেছেন বাপ্পি মজুমদার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যশোর যাবো। ঈদের আগের দিনের টিকিট কিনেছি। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রতিটি টিকিটের দাম ১০০ ঢাকা করে বেশি রাখা হয়েছে। কয়েকটা কাউন্টার ঘুরে টিকিট না পেয়ে সোহাগ পরিবহন থেকে বাড়তি দামে টিকিট নিয়েছি।

তবে এটিকে বাড়তি দাম মানতে নারাজ সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, যাত্রী কম থাকলেও নির্ধারিত দামের অনেকটা ছাড়ে টিকিট বিক্রি করা হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আগে বেশি ছাড় দেওয়া হতো, আপাতত তা দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য যাত্রীরা এটিকে বাড়তি দাম বলতে পারেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে গাবতলী বাস টার্মিনালে। তবে সরকারি-বেসরকারি অনেক অফিস-প্রতিষ্ঠান এখনো ছুটি না হওয়ায় চাকরিজীবীদের অনেকে বাড়ি যাবেন শুক্র বা শনিবার। যাদের এরইমধ্যে ছুটি মিলেছে তারা পরিবার নিয়ে নাড়ির টানে ছুটছেন বাড়ির পথে।

সরজমিন গাবতলীতে দেখা গেছে, সকাল থেকে মানিকগঞ্জ, পাটুরিয়া ফেরিঘাটে চলাচল করা বাসগুলোতে যাত্রীচাপ। গন্তব্যে পৌঁছাতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে বাসে উঠছেন। গাবতলীতে সকাল থেকেই ছিল যাত্রী আর যানবাহনের তীব্র জট।

সূত্র: জাগো নিউজ




স্মৃতি ও স্মরণ

ছবি