ভয়েস বাংলা ডেস্ক
সিলেটের জাফলংয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে দুজন স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সেলিম মিয়া (২১) ও লক্ষণ চন্দ দাস (২২)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর আগে আজ বেলা দুইটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের টিকিট কাউন্টারে পেটানোর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ পর্যটককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন দুজন স্বেচ্ছাসেবক। এ সময় এক নারী ও কয়েকজন তরুণী তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এরপরও তাঁরা থামেনি।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্য জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বেলা দুইটার দিকে জাফলংয়ে প্রবেশকালে উপজেলা প্রশাসনের টোল ফি দিতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের কথা–কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের বেধড়ক পেটান। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রতন শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। একই সঙ্গে ওই দুই স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশের জাফলং সাব–জোনের পরিদর্শক রতন শেখ বলেন, ‘পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা দুজনকে আটক করেছি। তাঁদের সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। হামলার শিকার ওই পর্যটকদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খোঁজ নিচ্ছি।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, হামলার কারণ এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। এভাবে পর্যটকদের ওপর হামলা কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো