ভয়েস বাংলা ডেস্ক
দ্বিতীয় দিন শেষে মেহেদি হাসান মিরাজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ কামব্যাক করতে পারবে। তার কথা ঠিকই সত্যি হলো। তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। আর এর পুরো কৃতিত্ব মাহমুদুল হাসান জয়ের।
ধ্বংসস্তুপ থেকে তৃতীয়দিনে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে লিটন দাস, দ্বিতীয় সেশনে ইয়াসির আলী রাব্বি ও তৃতীয় সেশনে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে টাইগারদের এনে দিলেন তিনশ’ ছুঁইছুইঁ সংগ্রহ। ডারবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থামে ২৯৮ রানে।
ওপেনিংয়ে নেমে শেষ উইকেট হিসেবে ফেরেন জয়। মাঝখানে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের নিলেন ধৈর্যের পরীক্ষা। নিজেও হয়ে উঠলেন ধৈর্য ও দৃঢ়তার প্রতিমূর্তি। লিজাড উইলিয়ামসের তৃতীয় শিকার হিসেবে যখন ২১ বছর বয়সী ব্যাটার সাজঘরে ফিরছেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩২৬ বলে ১৩৭ রান। এই ইনিংস খেলার পথে ১৫ চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন জয়।
সেই সঙ্গে টাইগারদের দীর্ঘদিনের এক অপেক্ষারও অবসান ঘটালেন তিনি। টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পেলেন সেঞ্চুরি। যা আবার জয়ের প্রথম সেঞ্চুরিও। দেশের মাটিতে তো বটে, দ. আফ্রিকার মাটিতেও এর আগে সেঞ্চুরি ছিল না টাইগারদের।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোরটি ছিল মুমিনুল হকের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে ৭৭ রান করেছিলেন টাইগারদের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক। জয় পেরিয়ে গেলেন মুমিনুলকে। গড়লেন ইতিহাস। এশিয়ার বাইরে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলও খেললেন তিনি।
দিনের তৃতীয় সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দ. আফ্রিকা। তবে স্কোরবোর্ডে ৪ ওভারে ৬ রান জমা পড়তেই বৃষ্টি মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় দু’দলকে। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে আর মাঠে নামা হয়নি। ১৭ ওভার বাকি থাকতে শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা।
৭৫ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা। আগামীকাল চতুর্থদিন শুরু করবেন দ. আফ্রিকার দুই ওপেনার ডিন এলগার (৩) ও সালের এরউই (৩)। প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে করে ৩৬৭ রান। ৪ উইকেটে ৯৮ রানে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর