Online Bangla feature and news portal
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ

ঢাবির মলচত্বরে হবে ৭২০০ বর্গফুট বেদির ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট’

আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

1

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট’ স্থাপন করা হচ্ছে। এ স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতায় ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়েছে।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার বিতরণ করেন।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ’ ‘অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্ততা ও উদারতা’ তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশে (আইএবি)-এর যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত জুরিবোর্ডের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশাটি নির্বাচন করা হয়েছে। এটি হচ্ছে শতবর্ষের একটি উদ্ভাবন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, এই মনুমেন্টে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। এটি যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদার নৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।

এই মনুমেন্টের স্থাপত্য নকশা প্রণয়নে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য ‘আইএবি’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর, স্থপতিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়। এছাড়া ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানসহ আরও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই শতবর্ষ মনুমেন্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে নির্মাণ করা হবে। মনুমেন্টের বেদির আয়তন ৭২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট), মনুমেন্টের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট এবং উচ্চতা ২৫ ফুট, এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি হিস্টরি প্যানেল নির্মাণ করা হবে।

এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মল চত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশে (আইএবি) এর সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

সূত্র: দেশ রূপান্তর