গুলজার হোসেন উজ্জল
রাশির দোষে কোন এক কুক্ষণে ইউটিউবে ঢুকেছিলাম আর ঢাকাই সিনেমার পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর একটি ভিডিও সামনে পড়েছিল। দেখলাম ভিডিওটা। এরপর থেকে ইউটিউবে ঢুকলেই দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ভিডিওই সামনে চলে আসছে। কি মুশকিল!
ঝন্টু সাহেবের ভিডিও গুলো দেখে যা বুঝলাম সেটা হলো উনি একজন এংরি ওল্ড ম্যান৷ উনার সবগুলি ভিডিওতেই উনি ভীষণ রাগান্বিত আর ধমকাধমকির মধ্যে থাকেন।
ইন্টারভিউ নিচ্ছেন যে উপস্থাপক তাকে তিনি ধমকাচ্ছেন। কারো সম্পর্কে বলতে বলা হলো দেখা গেলো সেই অনুপস্থিত লোকটিকেও তিনি নাম ধরে ধমকাচ্ছেন৷ কাউকে হয়ত পছন্দ করেন তাকে উদ্দেশ্য করেও তিনি ধমকের সুরে প্রশংসা করছেন।
উনাকে বাংলা ছবির দর্শক নাই কেন – এই প্রসংগে প্রশ্ন করায় দর্শকদের ধমকালেন কিছুক্ষণ৷
উপস্থাপক জিজ্ঞেস করেছেন – আপনি ফিল্মে আসলেন কার হাত ধরে?
দেঃজাঃ ঝন্টু উপস্থাপককে ধমক দিয়ে বলছেন –
কার হাত ধরে আসব আমি? আমি কার হাত ধরে আসব? আমি কারো হাত ধরে আসিনাই। আমি নিজে নিজে আসছি৷ এমনেই আসছি।
যেখানে ধমকের সুযোগই নাই সেখানেও ধমকাচ্ছেন। যেমন, উপস্থাপক বলছেন –
-নায়িকা শাবানা সম্পর্কে কিছু বলেন৷
দেঃ জাঃ ঝন্টু ধমক দিয়ে বললেন ” আরে শাবানার মত নায়িকা আছে নিহি? না আর হইব কোন দিন?”
আমার মনে হলো এখানে তো আসলে ধমকের কোন প্রয়োজন ছিলোনা।
বেশ কয়েকটা ভিডিও দেখার পর আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষণ। আমি উনার এই লাগাতার ধমকাধমকির রহস্য বোঝার চেষ্টা করলাম। হঠাৎ মনে পড়ল “আরে! উনি তো আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক!” এই ধরেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকদের মেজাজ একটু চড়াই থাকে৷
(লেখক- চিকিৎসক। লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)