Online Bangla feature and news portal
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও নারী অবমাননামূলক বক্তব্যের ভয়াবহ প্রসার ঘটানো হচ্ছে

আপডেট : মার্চ ১৩, ২০২১ ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

821

ভয়েস বাংলা ডেস্ক

বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংগঠন ভয়েস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে উল্লেখ করেন যে, দেশে অফলাইন ও অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। নারীর প্রতি সহিংস বক্তব্য, নারীকে হেয় প্রতিপন্ন করে অবমাননাকর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে। তারা বলেন, অনেক স্থানে ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় আলোচনার নামেও নারী বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে যা নারীর প্রতি অবমাননাকর ।

অসত্য তথ্য প্রতিরোধ এবং তথ্যে প্রবেশাধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক আলোচনা সভাটি রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেল মিলনায়তনে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহায়তায় আলোচনা সভায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সেলিম সামাদ, আর্টিকেল-১৯ এর মারিয়া সালাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা পিয়াস, চলচ্চিত্র নির্মাতা গোলাম রাব্বানি বিপ্লব প্রমুখ
আলোচকরা বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের একটি বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করে। ফেসবুক এবং ইউটিউবে ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দেয়া হয় যা যা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে।
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উদাহরণ হিসেবে বক্তারা একটি পুজার অনুষ্ঠানে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের উপস্থিতিতে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, সাকিবের মতো একজন মহাতারকাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। আলোচনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ এর সময়ে গুজবের বিস্তার ব্যাপকভাবে ঘটানো হয়।
আর্টিকেল ১৯ এর মারিয়া সালাম বলেন দেশের এই অবস্থা একদিনে হয়নি আর এর পরিবর্তনও এক দিনে হবে না। তিনি আরো বলেন অনেক সময় সংবাদ মাধ্যমগুলোর অনলাইনে সংবাদ সবার আগে পরিবেশনার অসুস্থ প্রতিযোগীতার কারনেও ভুল বা অসত্য তথ্য দ্রুত প্রচার হয়ে যায়। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যম গুলোকে আরো সংবেদনশীল আচরন করার আহবান জানান তিনি।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ সভাটি পর্যালোচনা করেন এবং বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিদ্বেষমূলক মনোভাব ছড়িয়ে দেয়ার মাঝে পার্থক্য আছে তা অনেকাংশেই মানুষ বুঝতে ভুল করে থাকে। এই অবস্থায় কঠোর নিয়ম কানুনের থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার বা ইন্টারনেটের দায়িত্বশীল ব্যবহার বেশি কার্যকরী বলে তিনি মনে করেন।




স্মৃতি ও স্মরণ

ছবি