ভয়েস বাংলা ডেস্ক
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পুঙ্খানুপঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ওএইচসিএইচআর।
এক বিবৃতিতে ওএইচসিএইচআর বলেছে, ফটোসাংবাদিক শফিকুলের আটকাদেশের আইনগত বৈধতার বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
ওএইচসিএইচআরের বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁরা ধারণা করছেন শফিকুলকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছে।
ওএইচসিএইচআর বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে বলেছেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের ওপর চলমান নির্যাতন এবং তাঁকে গুম করে রাখার বিষয়ে তাঁরা শঙ্কিত। তাঁরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শফিকুলের আটকাদেশ এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলা ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে বাকস্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে ওএইচসিএইচআর জানায়, সাংবাদিকতার ‘দায়ে’ শফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি যৌনতার জন্য পাচার বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের কাজ করছিলেন। ওই প্রতিবেদনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার উল্লেখ ছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ তদন্ত করতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, ফটোসাংবাদিক শফিকুল গত ১০ মার্চ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। যশোরে ভারত সীমান্তের কাছে বেনাপোল থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি উদ্ধার হন গত ৩ মে।
কাজলকে ৩ মে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় আদালত তাঁকে জামিন দিলেও পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি মামলা রয়েছে। তার একটিতে গত ২০ মে শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এখন তিনি রয়েছেন যশোর কারাগারে।