ভয়েস বাংলা ডেস্ক
করোনা সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ জন। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত কমেছে। তবে গত কয়েক দিনের মতোই পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যু আজও বেশি।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৬৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫২৮ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন এবং খুলনা বিভাগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্য বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৩২ জনই নারী। ২০ জন পুরুষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণ টিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে থাকে। এ নিয়ে টানা ১১ দিন ধরে দেশে করোনায় মৃত্যু ১০০-এর নিচে রয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় ধুঁকছে প্রায় সব দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৯০ লাখ ৪ হাজার ৮৩৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৬ জনের। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ২৯ জনের। তারপরে মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায় ৭৯০ জনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ৬১২ জনের।
এ সময় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৯ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে ৩৮ হাজার ৯৪৮ জন। রোগী শনাক্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ৩৬ হাজার ৫১৫ জন।
সূত্র: প্রথম আলো