ভয়েস বাংলা ডেস্ক
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফার শেষ দিনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শহীদুল ইসলাম। আজ বুধবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলের একেবারে নিকটবর্তী বায়তুল নূর জামে মসজিদের পেশ ইমাম এবং তিনি ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার থেকে এই মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরা হলেন— বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, তার দেহরক্ষী কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে না। আজ নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন আদালত।
সিনহা হত্যা মামলার প্রথম ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত থেকে সমন দিয়েছিলেন আদালত। প্রথম দফায় প্রতিদিন পাঁচ জন করে তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও মাত্র দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন ৮৩ জন।
প্রথম দফার শুনানিতে গত ২৩ আগস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত ও লিটন মিয়ার আইনজীবী শওকত ১৫ আসামির পক্ষে ফেরদৌসীকে দুই দিন জেরা করেন। ২৪ ও ২৫ আগস্ট সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সিফাতকে জেরা করেন।
এরপর প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি মসজিদের ইমাম নুরুল আমিন, হ্নীলা ইউনিয়নের মীনা বাজার এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও শামলাপুর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
চলতি বছরের জুন মাসে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে আদালতে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
সূত্র: ডেইলিস্টার বাংলা